
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » রাজনীতি » হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ১৫ বছরে একটি কথাও বলেননি উপদেষ্টাদের কেউ: মেজর হাফিজ
হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ১৫ বছরে একটি কথাও বলেননি উপদেষ্টাদের কেউ: মেজর হাফিজ
্পক্ষকাল ডেস্ক
আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা কোনো অবস্থান নেননি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কখনো একটি কথাও বলেননি।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ
শনিবার (০২ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারবর্গকে সম্মাননা’ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ১৭ বছরের নির্যাতন ও জুলুমের বিরুদ্ধে যারা কখনো একটি শব্দ উচ্চারণ করেননি, তারা এখন পাদপ্রদীপের আলোয়। জাতিকে নসিহত করছেন। অথচ এই আন্দোলনের পেছনে জনগণের ত্যাগ ও বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত গণ-আন্দোলনের ভূমিকা সবাই জানে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণ জীবন দিয়েছে। কোনো পিআর সিস্টেম (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) নাকি আসনভিত্তিক নির্বাচন হবে-এই তর্কে নয়, মানুষ লড়েছে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে, যারা গণআন্দোলনে ছিল না, তারাই সব কৃতিত্ব দাবি করছে।
সংবিধান নিয়ে সংশোধনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও অনির্বাচিত ব্যক্তিরা সংবিধান সংশোধন করে না। জনগণের সম্মতি ছাড়া কেউ সংবিধানে হাত দিতে পারে না। সংবিধান আমরা রক্ত দিয়ে রক্ষা করেছি, সেটা ছুড়ে ফেলার অধিকার কারও নেই।
আওয়ামী লীগের সময়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ‘৭১-এ ছিলাম ৮০ হাজার। এখন মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা আড়াই লাখ। আত্মীয়স্বজন আর চৌদ্দগোষ্ঠীকে তালিকাভুক্ত করে আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে।
নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তিনি বলেন: নির্বাচন না হলে আইনশৃঙ্খলা ঠিক হবে না, বিনিয়োগ আসবে না। এখন চলছে মবক্রেসি আর বিদেশ থেকে ধার করে আনা অ্যারিস্টোক্রেসি। তারা জনগণকে শেখাচ্ছে, বাংলাদেশ কীভাবে চলবে।
প্রাক্তন বিচারপতি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী তাদের আশ্রয় দিয়ে ভুল করেছে। যারা গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে, তারা নিরাপদ আশ্রয়ে-এটা মেনে নেওয়া যায় না।