
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » তিতাস গ্যাস খেকো প্রকৌশলী সিদ্দিকুর’র হাতে দুর্নীতির রহস্যময় যাদুর কাঠি
তিতাস গ্যাস খেকো প্রকৌশলী সিদ্দিকুর’র হাতে দুর্নীতির রহস্যময় যাদুর কাঠি
তিতাস গ্যাস খেকো প্রকৌশলী সিদ্দিকুর’র হাতে দুর্নীতির রহস্যময় যাদুর কাঠি
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র মহাব্যবস্থাপক (আইসিটি বিভাগ) প্রকৌশলী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান চাকরি জীবনের শুরু থেকে দুর্নীতির রহস্যময় যাদুরকাঠির ছোঁয়ায় রাজধানী ঢাকা ও জন্মস্থান গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকার রানীগঞ্জে নামে বেনামে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। দীর্ঘ অনুসন্ধানে পাওয়া তিতাস গ্যাস খেকো প্রকৌশলী মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের দুর্নীতির রহস্যময় যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় নামে বেনামে গড়ে তোলা সম্পদের চুম্বক অংশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা,দুর্নীতি দমন কমিশন’র চেয়ারম্যান ও পাঠকদের মাঝে তুলে ধরা হলো।
প্রকৌশলী মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের পরিচিতি,পিতার নাম একুব আলী,গ্রামের নাম দক্ষিণ গাঁও পোস্ট অফিস আড়াল বাজার,সনমানিয়া ইউনিয়ন থানা কাপাসিয়া,জেলা গাজীপুর,শিক্ষাজীবন শুরু করেন বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,আড়াল জিএল উচ্চ বিদ্যালয়,কাপাসিয়া ডিগ্রী কলেজ পরবর্তীতে তেজগাঁও পলিটেকনিক্যাল কলেজ এবং সর্বশেষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং গুয়েট গাজীপুর থেকে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৯৪/৯৫ সালে সহকারী প্রকৌশলী পদে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসিতে যোগদান করেন।উল্লেখ্য তিতাস গ্যাস খেকো প্রকৌশলী সিদ্দীকুর রহমান’র চাকরিতে যোগদানের আগে বাপ দাদার সামান্য জমি জমা ছিলো বর্তমানে বাপ দাদার ওই সম্পত্তিতে বড় ভাই বসবাস করেন। তিতাস গ্যাস খেকো প্রকৌশলী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান চাকরি জীবনে শুরুতেই হাতে পেয়ে যান দুর্নীতির রহস্যময় যাদুরকাঠি আর সেই রহস্যময় জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় গ্রামের বাড়িতে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে দৃষ্টিনন্দন দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন।প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমানের সেই নান্দনিক বাড়ি দেখার জন্য প্রত্যহ দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে।অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,তিতাস গ্যাস খেকো প্রকৌশলী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান চাকরি জীবনে নারায়ণগঞ্জ ময়মনসিংহ সাভার এলাকায় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অনিয়ম দুর্নীতির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ওই সকাল এলাকার কয়েকশো বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কয়েক হাজার বসত বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে সরকারকে কয়েক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করে নিজের ও সিন্ডিকেট সদস্যদের কোষাগার সমৃদ্ধ করেছেন বলে জানা যায়।
তিতাস গ্যাস খেকো প্রকৌশলী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান দুর্নীতির রহস্যময় যাদুরকাঠির ছোঁয়ায় অর্জিত টাকায় রাজধানী ঢাকার আভিজাত্য এলাকা খ্যাত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কয়েক কোটি টাকায় ক্রয় করেন আলিশান ফ্ল্যাট বর্তমানে উক্ত ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।এছাড়াও গাজীপুর সিটি এলাকায় রয়েছে স্ত্রী ও সন্তানের নামে বেশ কয়েকটি প্লট।দুর্নীতি রহস্যময় যাদুরকাঠির ছোঁয়ায় অর্জিত টাকায় তিতাস গ্যাস খেকো প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান কাপাসিয়া থানার অদূরে রানীগঞ্জ এলাকায় বিলাসবহুল রিসোর্স করার জন্য আনুমানিক শত বিঘার উপরে জমি ক্রয় করেন।রানীগঞ্জ এলাকার শত বিঘার উপরে তুমি ক্রয় করা সত্যতা পাওয়া যায় উক্ত ক্রয়কৃত জমির দলিল এর কাজ সম্পন্ন করিয়ে দেওয়া মোশারফ মোক্তারের সাথে কথা বলে।মোশারফ মোক্তার প্রতিবেদককে আরো জানান প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান আরো ৩০ থেকে ৪০ বিঘা জমি ক্রয় করে দেওয়ার জন্য তার সাথে যোগাযোগ রাখছেন। প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে মোশারফ মোক্তার বলেন ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিক সাহেবের টাকার কোন অভাব নেই জমির দাম যাই হোক না কেন ওনার(প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমানের)সমস্যা নেই কারণ তিনি তিতাস গ্যাসে অনেক বড় পদে চাকরি করেন তার টাকার কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়! অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,তিতাস গ্যাস খেকো প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান দুর্নীতি রহস্যময় যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় অর্জিত টাকায় এক ছেলে কানাডা ও এক ছেলে কে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নের জন্য পাঠিয়ে দিয়ে দুই ছেলেকেই অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডাতে বাড়ি করে দিয়েছেন আর ছোট ছেলে ঢাকার একটি স্বনামধন্য স্কুলে লেখাপড়া করেন।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় তিতাস গ্যাস থেকো প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান দুর্নীতির রহস্যময় যাদুরকাঠির বৌদলতে অর্জিত টাকায় প্রিয়তমা স্ত্রীর সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য রয়েছে বিলাসবহুল দুটি গাড়ি।এছাড়াও স্ত্রী সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনের নামে বেনাম বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার এফডিআর ও সঞ্চয় পত্র।প্রশ্ন জাগে প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান যেই পরিমাণ টাকা বেতন ও আনুষঙ্গিক বাবদ পেয়ে থাকেন রাষ্ট্র থেকে সেই টাকায় এত সম্পদ কিভাবে করলেন?পরবর্তীতে তিতাস গ্যাস খেকো প্রকৌশলী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ( মহাব্যবস্থাপক,তিতাস গ্যাস আইসিটি বিভাগ) এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে এবং খুদেবার্তার মাধ্যমে তার অনিয়ম দুর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি দৈনিক মুক্তির লড়াই কে বলেন আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সবগুলো সত্য নয় আবার সবগুলো মৃত্যুও নয়! প্রতিবেদক প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমানকে প্রশ্ন রাখেন যে আপনার অর্জিত সম্পদের বিবরণীর কোনটা কোনটা মিথ্যা বলবেন কি? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন অনেকটাই সত্য এই বলে তিনি মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
পরবর্তীতে তিতাসগ্যাস খেকো প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমানের বক্তব্যের বিষয়ে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক মাহবুবু ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান’র মতো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে তদন্ত কমিটি করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তার দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সকল সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেওয়া উচিত।
এহেন দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির শত্রু।
(তিতাস গ্যাস খেকো প্রকৌশলী মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের দুর্নীতি রহস্যময় যাদুরকাঠির ছোয়ায় অর্জিত বাকি সম্পদের অনুসন্ধান চলমান,,,)