সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » মশাল প্রতীকে নির্বাচিত যারা তাদের বিষয়টি সংসদই বিবেচনা করবে
মশাল প্রতীকে নির্বাচিত যারা তাদের বিষয়টি সংসদই বিবেচনা করবে
পক্ষকাল ডেস্কঃ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের নির্বাচনী প্রতীক মশাল হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার নেতৃত্বাধীন অংশের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার যে দাবি অন্য অংশ জানিয়েছে- তা নাকচ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ রোববার বলেন, “আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। হাসানুল হক ইনু জাসদের সভাপতি এবং শিরীন আখতার সাধারণ সম্পাদক। তাদেরকে মশাল প্রতীক ব্যবহার করতে বলে দিয়েছি। কাজেই উনারা (আরেক অংশ) যদি আইনসঙ্গতভাবে কোথাও যেতে চান, যেতে পারেন।”ইসির সিদ্ধান্তকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থি’ আখ্যায়িত করে তা পর্যালোচনার এই আবেদন করেছিল শরীফ নূরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান নেতৃত্বাধীন জাসদের অপর অংশ।
গত শুক্রবার এক বিবৃবিতে তারা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশনকে আবারও ‘ভালোভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার’ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুটি জাতীয় নির্বাচনে যারা মশাল নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনজনএমপি আম্বিয়া-প্রধান নেতৃত্বাধীন জাসদের সঙ্গে রয়েছেন। এরপরও ইসি তাদের দাবি ‘উপেক্ষা’ করেছে।অথচ যারা অন্য প্রতীক নিয়ে (ইনু ও শিরীন দুজনই নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন) গত নির্বাচন পার হয়েছেন, তাদের হাতেই ইসি মশাল তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় বিবৃতিতে।
নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ বলেন, মশাল প্রতীকে নির্বাচিত যারা ইনুর জাসদ থেকে বেরিয়ে আলাদা কমিটিতে গেছেন, তাদের বিষয়টি সংসদই বিবেচনা করবে।
“এটা সংসদ বিবেচনা করবে, এটা আমাদের (ইসি) বিবেচ্য বিষয় নয়। গঠনতন্ত্র ও আইন অনুসারে আমরা কেবল নিবন্ধনের বিষয়টি বিবেচনা করেছি।”গত ১২ মার্চ জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে দুই ভাগ হয় জাসদ। হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতারের কমিটির পাশাপাশি কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দীন খান বাদল, শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধানের আলাদা কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ বিভক্তি চূড়ান্ত হয়।
দুই পক্ষই নিজেদের ‘মূল জাসদ’ দাবি করে দলীয় প্রতীক মশালের দাবি নিয়ে ইসির দ্বারস্থ হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল আলাদাভাবে দুই পক্ষের শুনানি করে ইসি। এরপর গত ১৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন ইনু-শিরীনের জাসদকেই ‘মূল ধারা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
শাহনেওয়াজ বলেন, “জাসদের যে গঠনতন্ত্র আছে- তা ব্যাখ্যা করেছি এবং ব্যাখ্যা করে তাদের একটা দলকে বলেছি যে মশাল তারা ব্যবহার করবে। গঠনতন্ত্র অনুসারে যারা মশাল পাওয়ার কথা, আমরা বিচার বিবেচনা করে তাদেরকেই মশাল ব্যবহার করতে দিয়েছি।”