
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » কারমাইকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম : ২১ দফা বাস্তবায়নে শাটডাউনের হুঁশিয়ারি
কারমাইকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম : ২১ দফা বাস্তবায়নে শাটডাউনের হুঁশিয়ারি
রেখা মনি ,রংপুর ব্যুরো ঃ রংপুরের ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজে শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়ন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধানে শিক্ষার্থীরা আজ রোববার সকাল ৮ টা থেকে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন। সকাল থেকেই কলেজে ক্লাস ও পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীরা “কলেজ শাটডাউন” কর্মসূচি শুরু করেন।
দাবি আদায়ে উত্তাল শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লালবাগ রেলগেট এলাকায় অবস্থান নিয়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলেও, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষা উপদেষ্টাকে সরাসরি ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি দেখার দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে ২৫ দফা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে আরও ১২ দফা দাবি পেশ করেছেন। মোট ৩৭ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো—
একাডেমিক ভবন ও আধুনিক অডিটোরিয়াম নির্মাণকলেজের দখলকৃত জমি উদ্ধার ও অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে স্মার্ট ক্লাসরুম
পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ ও আধুনিক বিজ্ঞান ল্যাব স্থাপন
শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ছয়টি বাস বরাদ্দ ,নতুন হল নির্মাণ ও পুরাতন হল সংস্কার
্আইসিটি সুবিধা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
কলেজের জমি অন্য কোথাও স্থানান্তর না করার লিখিত নিশ্চয়তা
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম জানান, “বছরের পর বছর ধরে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। একাধিকবার জানালেও কোনও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছি।”
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “এই আন্দোলন শুধু আমাদের প্রয়োজন নয়, পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যতের প্রশ্ন। দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন চলবে।”
অবস্থানকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এবং রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রমিজ আলম।
অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, “যেসব দাবি বাস্তবায়ন করা কলেজ প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব, তা লিখিতভাবে শিক্ষার্থীদের জানানো হবে। অন্য দাবিগুলো জেলা প্রশাসনের সহায়তায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।”
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রমিজ আলম বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। আন্দোলন যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।”
এদিকে, শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে আগামীকাল (২৩ জুন) থেকে কলেজের সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।