শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Daily Pokkhokal
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | জেলার খবর » আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে আটক করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | জেলার খবর » আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে আটক করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ
৩৯০ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে আটক করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ

---

তৈয়বুর রহমান (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

টঙ্গী-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কের কালীগঞ্জ শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতুর পশ্চিম পাশে বাঘেরপাড়া নামক নিরব স্থানে ডাকাতরা গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে অবরোধ করে  বিভিন্ন গাড়ির গতিরোধ করে। পরে গাড়ি ভাঙচুর করে চালক ও যাত্রীদের মারধর করে তাদের সাথে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য জিনিসপত্র  লুট-পাট করে নিয়ে যায় ওই ডাকাত দলের সদস্যরা। পরবর্তীতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

বুধবার দুপুরে আটককৃত ডাকাতদেরকে গাজীপুর কোর্টে প্রেরণ করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। আটককৃত ওই ডাকাতদের হেফাজত থেকে ১২টি মোবাইল, নগদ ৫হাজার ৬শত ৫৫ টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত  ছেন, দা, চাপাতি, বাশেঁর লাঠি সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন-হবিগঞ্জ জেলার চুনারঘাট থানার পান্ডরাইল গ্রামের  খোরশেদ আলীর ছেলে মো. সবুজ মিয়া (৪৫), ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানার হারুনের ছেলে শামীম (২০), দুবাউড়া থানার গোস্তাবহলী গ্রামের ফজর আলীর ছেলে সুমন মিয়া (২৮) ও  ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জেলার বিজয়নগর থানার আবু জাহেরের ছেলে এমদাদুল হক (২৭), নাসিরনগর থানার আকবর হোসেনের ছেলে শিপন (২৪) ও সদর থানার আসাদ মিয়ার ছেলে আজিজুল ইসলাম (২০),  চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার মাসুদুর রহমানের ছেলে তানভীর (২১), সুনামগঞ্জ জেলার দুয়াউরা থানার জনাব আলীর ছেলে বশির আহমেদ (৩৫)।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক জানান, গত ৩০ নভেম্বর রাত ১টার দিকে টঙ্গি-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কের কালীগঞ্জ বাঘেরপাড়া নামক স্থানের নিরব জায়গায় রাস্তায় গাছ ফেলে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যরা ডাকাতি করতে থাকে। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মো: আশাদুজ্জামান নরসিংদীতে প্র্যাকটিস শেষে ঢাকা যাওয়ার পথে উক্ত স্থানে পৌছলে ডাকাতরা চিকিৎসক আশাদুজ্জামানের গাড়ি থামিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল সেট, এটিএম কার্ডসহ সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। পরের দিন সকালে  কালীগঞ্জ থানায় ওই চিকিৎসক বাদী হয়ে ৩৯৫/৩৯৭ ধারায় ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ২। এরই সূত্র ধরে মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে ঢাকার ফকিরাপুলের আজমেরী হোটেলে ডাকাতদের অবস্থান জানা যায়। পরে কালীগঞ্জ -কাপাসিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্তের নির্দেশে ওসি একেএম মিজানুল হকের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঢাকার ফকিরাপুলের আজমেরী হোটেলে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপি ঢাকা, জিএমপি গাজীপুর ও ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলা হইতে অভিযান চালিয়ে সরাসরি ডাকাতির সাথে জড়িত আরোও ৪ ডাকাত সদস্যকে আটক করে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)