
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » রাজনীতি | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বশীল পরিষদ: মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি “প্রতিরোধ পর্ষদ”
সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বশীল পরিষদ: মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি “প্রতিরোধ পর্ষদ”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষকাল প্রতিনিধি ;
আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে মোট ১০টি প্যানেল ঘোষিত হয়েছে। এর মধ্যে “প্রতিরোধ পর্ষদ” নামের ইমি-মেঘ পরিষদকে সর্বাধিক প্রতিনিধিত্বশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অঙ্গীকারবদ্ধ প্যানেল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বহুমাত্রিক অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্বকে গুরুত্ব দিয়ে এই পরিষদ গঠন করা হয়েছে, যা অন্য কোনো প্যানেলের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
নারীর শক্তিশালী অংশগ্রহণ
ডাকসুর ভোটারদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪৭.৩ শতাংশ। বিষয়টি মাথায় রেখে এই পরিষদে ভিপি-সহ মোট ১২ জন নারী প্রার্থীকে মনোনীত করা হয়েছে, যা প্রায় ৩৯% প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছে।
সংখ্যালঘু ও আদিবাসী প্রতিনিধিত্ব
মোট ভোটারদের প্রায় ১৩% সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠী। এই অংশের ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে জিএস-সহ ৫ জন প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে, যা প্রায় ১১% প্রতিনিধিত্ব।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি
একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে প্রতিরোধ পর্ষদ নিশ্চিত করেছে যে কাউকেই পেছনে ফেলে রাখা হবে না।
নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা
এই প্যানেলের সবচেয়ে বড় শক্তি— ভিপি প্রার্থী ইতিমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল সংসদের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্র সংসদ পরিচালনার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তাঁকে অন্য সব প্রার্থীর থেকে আলাদা করেছে।
অন্যদিকে, জিএস প্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছে একজন আন্দোলন-সংগ্রামের পরীক্ষিত মুখ, যার মতো নেতৃত্ব অন্য কোনো প্যানেলে নেই।
শিল্প ও ক্রীড়ার প্রতিনিধি
পরিষদে রাখা হয়েছে শিল্প ও ক্রীড়াঙ্গনের দুজন পরিচিত মুখ, যারা সংস্কৃতি ও খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আত্মপ্রকাশ ও নেতৃত্বকে শক্তিশালী করবে।
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ রক্ষায় আহ্বান
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও লাখো নারীর সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন রাষ্ট্রকে ধারণ করেই এগোতে হবে। অথচ আজও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি—যে জামাত-শিবির এই রাষ্ট্রকে কখনোই মেনে নেয়নি—তারা আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, ডাকসু নির্বাচনে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু রাজধানীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়; এটি সমগ্র বাংলাদেশের বিবেক, মুক্তিকামী মানুষের আশ্রয়স্থল। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মচারী, বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মুক্তির ডাক
আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে “প্রতিরোধ পর্ষদ”-ই হলো মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ধারণ করা একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল পরিষদ।
???? তাই বাংলাদেশের সচেতন ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান—
আপনার মূল্যবান ভোট দিন প্রতিরোধ পর্ষদকে।
স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিন।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রক্ষায় রুখে দাঁড়ান।