
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » সম্পাদকীয় বিশ্লেষণ: রাশিয়া-চীন মহড়া, ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া এবং পুতিনের কূটনৈতিক চাল
সম্পাদকীয় বিশ্লেষণ: রাশিয়া-চীন মহড়া, ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া এবং পুতিনের কূটনৈতিক চাল
সম্পাদকীয় বিশ্লেষণ: রাশিয়া-চীন মহড়া, ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া এবং পুতিনের কূটনৈতিক চাল
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
রাশিয়া ও চীনের যৌথ সামরিক মহড়া এমন এক সময়ে শুরু হয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘটনাপ্রবাহ শুধু সামরিক শক্তি প্রদর্শনের বিষয় নয়, বরং এটি একটি কূটনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের ইঙ্গিত বহন করে।
মহড়ার প্রকৃতি ও বার্তা
চীন ও রাশিয়ার যৌথ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, সাবমেরিন, বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
মহড়াটি জাপান সাগরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল।
চীন বলছে, মহড়াটি “অন্য কোনো দেশকে লক্ষ্য করে নয়”, কিন্তু এর সময় ও স্থান আন্তর্জাতিক বার্তা বহন করে।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া: প্রতিরোধ না উস্কানি?
ট্রাম্প Truth Social-এ ঘোষণা দেন, “দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন রাশিয়ার কাছে মোতায়েন করেছি।”
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করব।”
এই পদক্ষেপ রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভের হুমকির জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে, যিনি বলেছিলেন, “প্রতিটি নতুন আলটিমেটাম যুদ্ধের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যায়।”
পুতিনের কূটনৈতিক কৌশল: বৈঠকের আহ্বান
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেপ্টেম্বর মাসে বেইজিংয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর উপলক্ষে সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন।
রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, পুতিন ট্রাম্পের সঙ্গে “জরুরি বৈঠক” চান।
এই বৈঠক যদি হয়, তবে তা হবে একটি উচ্চ-স্তরের কূটনৈতিক পুনর্মিলন, যা বর্তমান উত্তেজনার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
বিশ্ব রাজনীতিতে প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ
জাপান ইতিমধ্যে এই মহড়ার বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো সতর্ক নজর রাখছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো, বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশ, এই উত্তেজনার প্রভাব পর্যালোচনা করছে।
বাংলাদেশের জন্য বার্তা
যদিও এই ঘটনাপ্রবাহ সরাসরি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রভাব ফেলছে না, তবে বৈশ্বিক শক্তির পুনর্বিন্যাস ও সামরিক উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলাদেশের উচিত আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সংলাপে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং শান্তিপূর্ণ বহুপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখা।