রাজউক নকশাকার পলাশ খা’র দুর্নীতি রুখবে কে?
(পর্ব-১) নূরুন্নবী চৌধুরীঃ
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নকশাকার পলাশ খা’র বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় চাকরি জীবনে শুরুতেই
দুর্নীতির রাম রাজত্ব রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)এর নকশাকার পলাশ খা হাতে পেয়ে যান আলাদিনের চেরাগ,আর সেই আলাদীনের চেরাগ রাজউক’র সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার আরেক মহা দুর্নীতিবাজ আনোয়ার হোসেন। অবসরে যাওয়া মহা দুর্নীতিবাজ আনোয়ার হোসেন নকশাকার পলাশ খার আপন ফুফাতো ভাই এই আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণে দুজনে মিলে মিশে রাজউক এর ভিতরে শক্তিশালী অনিয়ম দুর্নীতির সিন্ডিকেট আর ওই সিন্ডিকেটের সবাই গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়।
সাবেক চিপ ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেনের ছত্র-ছায়ায় নকশাকার পলাশ খা রাজধানী ঢাকায় বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট,প্লট সহ গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় নামে বেনামে গড়েছেন বহু সম্পদ ও বিভিন্ন ব্যাংকে কাড়ি কাড়ি টাকার এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র । অভিযোগ’র সূত্র ধরে গ্রামের বাড়ি ভান্ডারিয়া ও রাজধানী ঢাকায় অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় নকশাকার পলাশ খা’র সম্পদের ফিরিস্তি তার চাকরির পদবীর সাথে সম্পদের বিবরণী দেখলে যে কোন মানুষের অবাক হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
রাজউক নকশাকার পলাশ খা’র পিতা মৃত শাজাহান খান,জেলা পিরোজপুর,থানা ভান্ডারিয়া,ভান্ডারিয়া পৌরসভা তিন নং ওয়ার্ড।বর্তমান বসবাস করেন রাজধানী ঢাকার মুগদায় কোটি টাকার উপরে দামী বিলাসবহুল নিজস্ব ফ্লাটে ও বাসাবো মায়াকানন আবাসিক এলাকায় রয়েছে আরও দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট,রাজধানী ঢাকার ২৭৪ গুলবাগ সিলিকন পার্ক ভিউ টাওয়ারে কোটি টাকার উপরে দামি অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট,ফ্ল্যাট নং ৮/ই,উক্ত ফ্ল্যাট ক্রয় করেন শাশুড়ির নামে,বর্তমানে নকশার পলাশ খা উক্ত ফ্ল্যাট টি বিক্রির জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকায় শাশুড়ির নামে ক্রয়-কৃত সিলিকন টাওয়ারের ৮-ই ফ্ল্যাট টি কোটি টাকার উপরে দাম নির্ধারণ করে বিক্রির জন্য প্রাথমিক বায়না চুক্তি সেরেছেন বলে সিলিকন টাওয়ার সুত্র জানায়। রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এম ব্লকে রয়েছে যৌথ মালিকানায় ১০ কাটার প্লট।নিজের চলাফেরার জন্য রয়েছে লেটেস্ট মডেলের টয়োটা এলিয়ন গাড়ি।গ্রামের বাড়ি ভান্ডারিয়া পৌরসভায় রয়েছে কোটি টাকা মূল্যের ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে গ্রামের বাড়িতে।
ছোট ভাই ভান্ডারিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুবেল খা’র ব্যবহারের জন্য নকশাকার পলাশ খা উপহার দিয়েছে লাল CRV গাড়ি,এবং ছোট ভাই রুবেল খা’কে ভান্ডারিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বানানোর জন্য নির্বাচনের সময় পলাশ খা কোটি টাকার উপরে খরচ করে প্রত্যেক ভোটারের ঘরে ঘরে নগদ টাকা এবং আম বিতরণ করেন যাহা অনুসন্ধানে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
নকশাকার পলাশ খা’র অনিয়ন দুর্নীতির বিষয়ে জানতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় নকশাকার পলাশ খা আপাদমস্তক একজন দুর্নীতিবাজ এবং তার এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির হাতেখড়ি তার আপন ফুফাতো ভাই রাজউক এর সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার আরেক মহা দুর্নীতিবাজ আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে।এহেন দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির শত্রু এই সকাল দুর্নীতিবাজদের কারণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে আমরা চাই দুর্নীতিবাজদের শাস্তি হোক।
পরবর্তীতে মুঠোফোনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)নকশাকার পলাশ খা’র অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় জানতে পলাশ খা’র ব্যবহৃত মুঠোফোন বারবার ফোন দেওয়া হলেও নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।পরবর্তীতে নকশাকার পলাশ খা’র খুঁজে তার কর্মস্থল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)এ গিয়ে জানা যায় পলাশ খা’র নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না। অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পলাশ খা’র এক কলিগ এই প্রতিবেদককে জানান পলাশ সাহেব কর্মস্থলে স্বাক্ষর করার পরপরই বাইরে গিয়ে দালালির কাজে ব্যস্ত থাকেন সেই কারণে গণমাধ্যম কর্মীরা তার টিকি ও খুঁজে পাওয়া না,তিনি আরো বলেন অপ্রিয় হলেও সত্য পলাশ খা কয়েক কোটি টাকার মালিক বর্তমানে যাহা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত ভাবে ইনকাম করা টাকা। রাজউক নকশাকার পলাশ খা’র নজিরবিহীন অনিয়ম দূর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন অভিযোগ পেলে এর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্য দিকে রাজউক নকশাকার দুর্নীতিবাজ পলাশ খা’র নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে সচেতন মহল বলেন এহেন দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির সূত্র এদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমা নেওয়া সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
নকশাকার পলাশ খা ‘র অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের অনুসন্ধান চলমান,,,,,