
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » নাটকের নাম ‘গণতন্ত্র’, পরিচালনায় আন্তর্জাতিক স্বার্থ: বাংলাদেশ কি কমিশন বাণিজ্যের লেনদেনের শিকার?
নাটকের নাম ‘গণতন্ত্র’, পরিচালনায় আন্তর্জাতিক স্বার্থ: বাংলাদেশ কি কমিশন বাণিজ্যের লেনদেনের শিকার?
নাটকের নাম ‘গণতন্ত্র’, পরিচালনায় আন্তর্জাতিক স্বার্থ: বাংলাদেশ কি কমিশন বাণিজ্যের লেনদেনের শিকার?
বিশেষ প্রতিবেদন | ২৬ জুন ২০২৫
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা অনেকের কাছেই এক ‘সাজানো নাটক’। দৃশ্যপটে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও সংস্কারের বুলি থাকলেও, পর্দার অন্তরালে চলছে এক ভয়াবহ লেনদেন যেখানে দেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনীতি ও জনগণের ভবিষ্যৎ বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্বার্থের কাছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্র হিসেবে উঠে আসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১. মানবাধিকার সংগঠন: নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক না কৌশলগত অংশীদার?
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। দাবি করা হয়েছে, এই প্রতিবেদন ইউনূস সরকারের ‘ডিক্টেশনে’ তৈরি হয়েছে। সেখানে বলা হয়, জুলাই-আগস্টের সহিংসতার সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় সাবেক সরকারের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলেও, ইউনূস নিজেই নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে স্বীকার করেন যে আন্দোলন ছিল “মেটিকুলাসলি ডিজাইনড”। অর্থাৎ, সহিংসতা, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত-যার উদ্দেশ্য ছিল একটি নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি ‘প্রক্সি প্রশাসন’ বসানো।
অরাজকতা: কৌশলগত বিভ্রান্তি না গণতান্ত্রিক আন্দোলন?
৫ আগস্টের পর সারাদেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতা, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, পুলিশ হত্যা, মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ-সবই ছিল একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ। স্বীকার করা হয়েছে, এই সহিংসতার পেছনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও নিরাপত্তা বাহিনীর ‘সমন্বয় ও নির্দেশনা’ ছিল। অথচ এই সহিংসতার তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় কমিশন ইউনূস সরকার ক্ষমতায় এসেই বন্ধ করে দেয়। প্রশ্ন উঠছে-কেন?
কমিশন বাণিজ্য: বিনিয়োগ না ভাগ-বাটোয়ারা?
চীনের সঙ্গে ২.১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ, তিস্তা প্রকল্প, স্বাস্থ্য খাতে অনুদান-সবকিছুই এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন দেশের জনগণ ভোটাধিকারহীন। সমালোচকরা বলছেন, এই বিনিয়োগের পেছনে রয়েছে ‘কমিশন ক্লাস’-একটি নতুন ধনিক গোষ্ঠী, যারা বিদেশি প্রকল্পের বিনিময়ে নিজেদের ভাগ নিশ্চিত করছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা মূলত ইউনূস ঘনিষ্ঠ, এনজিও ও কর্পোরেট লবির প্রতিনিধিত্বকারী, যারা এখন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে।
জনগণ ব্যস্ত, রাষ্ট্র বিক্রি: কৌশলগত বিভ্রান্তি?
অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে জনগণকে ব্যস্ত রাখা-এ যেন এক পুরনো কৌশল। যখন মানুষ রাস্তায়, বাজারে, হাসপাতালে বাঁচার লড়াইয়ে ব্যস্ত, তখন পর্দার অন্তরালে চলে চুক্তি, কমিশন ও ক্ষমতা ভাগাভাগি। এই কৌশল নতুন নয়-কিন্তু এবার তা হয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মোড়কে, মানবাধিকার ও সংস্কারের নামে।