
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » রাজনীতি » জনমত: ইউনূস ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র—একটি অদৃশ্য এজেন্ডা বাস্তবায়নের আশঙ্কা?
জনমত: ইউনূস ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র—একটি অদৃশ্য এজেন্ডা বাস্তবায়নের আশঙ্কা?
শফিকুল ইসলাম কাজল ঃবাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি নাম ঘুরেফিরে আলোচনার কেন্দ্রে—ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক পরিচিতি ও পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ব্যক্তিত্বকে ঘিরে আজ দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর সন্দেহ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। অনেকের মতে, ইউনূস কেবল একজন উন্নয়নকর্মী বা অর্থনীতিবিদ নন—তিনি আন্তর্জাতিক এজেন্ডার বাহক হিসেবে দেশে ‘গোপন প্রকল্প’ বাস্তবায়নের এক মহাপরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন।
জনগণের সন্দেহ এখন আর গুজবের পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নেই। বলা হচ্ছে, আমেরিকার ছায়াতলে থেকে তিনি এমন এক রাজনৈতিক রূপরেখা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে—বাংলাদেশকে একটি অনির্বাচিত, নিয়ন্ত্রিত, তথাকথিত উন্নয়ন-নির্ভর শাসনব্যবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া, যেখানে নির্বাচনের গুরুত্ব থাকবে না, বরং থাকবে আন্তর্জাতিক স্বার্থ রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু মুখপাত্র।
বর্তমানে যখন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, জেলা পরিষদ ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা মত ও বিশ্লেষণ চলছে, তখন ‘আসি’ নামের একটি তুচ্ছ ছিচকে উপদেষ্টা হঠাৎ করে একরকম নির্দেশনার মতো পরামর্শ দেয়—“জাতীয় নির্বাচনের আগে ১১ সিটি নির্বাচন সম্পন্ন হোক।” এ প্রশ্ন উঠছে—এই সুপারিশ কার স্বার্থে, কেন এই মুহূর্তে?
বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, যারা একবার শাসন ক্ষমতায় বসেছে, তারা স্বাভাবিক পথে ক্ষমতা ছাড়ে না। ব্রিটিশ আমল হোক, পাকিস্তানি শাসন হোক কিংবা পরবর্তীকালের স্বৈরশাসন—সব ক্ষেত্রেই জনতার প্রতিরোধ ছাড়া ক্ষমতা থেকে তাদের নামানো যায়নি। ইউনূস তাদের চেয়েও একধাপ ‘বুদ্ধিদীপ্ত’ ও কূটনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হয়। ফলে, তাকে সাধারণ পদ্ধতিতে রোধ করা যাবে—এটা ভাবার সুযোগ নেই।
জনগণের এই বাস্তব উপলব্ধি আজ পরিস্কার: বাংলাদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে ইউনূস ও তার আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত গোষ্ঠী একটি বড় বিপদের বার্তা বহন করছে। সুতরাং, এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় জনমত—যা ইউনূসের গোপন এজেন্ডার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবে এবং একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণচেতনা গড়ে তুলবে।
বাংলাদেশ কারো পরীক্ষাগার নয়। নির্বাচন জনগণের অধিকার—কোনো বৈদেশিক পৃষ্ঠপোষকতার অনুগ্রহ নয়। এখনই প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময়