
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » আমু নানক’র অস্ত্রধারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী মিলন কি আইনের ঊর্ধ্বে
আমু নানক’র অস্ত্রধারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী মিলন কি আইনের ঊর্ধ্বে
অভিযুক্ত হুমকিদাতা মানিক
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে জুলাই আগস্ট-০২৪ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলাকারী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য আমির হোসেন আমু ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের পালিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সংগঠনিক সম্পাদক মিলন খন্দকার এতো দিনেও গ্রেফতার না হওয়ায় ঝালকাঠি জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ এর সৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজ মিলন খন্দকার এখনো রাজধানী ঢাকা শহরে প্রকাশ্যে ঘুরে বাড়ানো নিয়ে জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসিন্দা আরিফুর রহমান এর সাথে মিলন খন্দকার এর বিষয় নিয়ে কথা বল্লে, তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন বিগত ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালী নেতা আমির হোসেন আমু ও জাহাঙ্গীর কবির নানক’র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী টেন্ডারবাজ দখলবাজ মিলনের অত্যাচারে ঝালকাঠি সদর উপজেলাবাসী জিম্মি ছিল,পরবর্তীতে জুলাই আগস্ট-০২৪ আওয়ামী লীগ সরকার পতনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে হামলাকারী মিলন খন্দকার।যে এতো সব অন্যায় অনিয়ম দখলবাজি সন্ত্রাসী টেন্ডারবাজি নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী মিলন খন্দকার কে কেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসন গ্রেফতার করছে না?তাহলে কি অবৈধ অস্রধারী সন্ত্রাসী টেন্ডারবাজ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী মিলন খন্দকার আইনের আইনের উর্ধ্বে?
অনুসন্ধানী আরও জানা যায় ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন খন্দকার এর বড় ভাই প্রয়াত জাহাঙ্গীর খন্দকার এক সময় দক্ষিণাঞ্চলে সর্বহারা পার্টির নেতা ছিলেন পরবর্তীতে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমির হোসেন আমুর হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ভাগিয়ে নেন।মিলন খন্দকার বড় ভাই জাহাঙ্গীর খন্দকার’র ছত্রছায়ায় অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে অল্পতেই আমির হোসেন আমুর বিশ্বস্থতা অর্জন করেন।আরেকদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা মিলন খন্দকার’র দূর সম্পর্কের ফুফু হওয়ার কারণে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এলজিইডি,গণপূর্ত ও রোডস এন্ড হাইওয়েতে একচেটিয়া টেন্ডারবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক। ৫ ই আগস্ট-০২৪ আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আমির হোসেন আমুর পালিত অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন খন্দকার বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বনশ্রী এলাকায় বসবাস করছেন বলে সুত্রে জানা যায়।এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনিয়ম দুর্নীতি ও অবৈধ অস্ত্রের বেচাকেনার টাকায় রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার আওতাধীন কাজলা এলাকার কাঁচামালের আড়তে স্থানীয় বিএনপি পন্থী ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ হোসেনের আশ্রয়ে অবৈধ সুদের ব্যবসায় কয়েক কৌটি টাকা লগ্নি করে দিব্যি আরাম ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
পরবর্তীতে ওই সকল অনিয়ম দুর্নীতি অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার ও বৈষম্য ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলার বিষয়ে জানতে ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সংগঠনিক সম্পাদক মিলন খন্দকার’র মুঠোফোন ফোন দিয়ে ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে প্রথমে কোন সাড়া না দিয়ে পরবর্তীতে জনৈক মানিক হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে প্রতিবেদকের মুঠো ফোন করিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দেওয়া হয়।প্রতিবেদক জনৈক মানিক হোসেন এর কাছে প্রশ্ন রাখেন যে সাংবাদিকরা তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করার পর সংবাদ প্রকাশিত করার স্বার্থে অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য জানতে চাওয়া কি অন্যায়? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে মিলন খন্দকারের পক্ষে ফোন করা জনৈক মানিক হোসেন উত্তেজিত হয়ে প্রতিবেদককে বলেন আপনি আর কখনো মিলন খন্দকার কে ফোন দিবেন না,আপনি যদি মিলন খন্দকারকে তার অনিয়ম দুর্নীতি সহ যেই কোন বিষয় বক্তব্য জানার জন্য ফোন করে থাকেন তাহলে আপনার নামে থানায় জিডি করা হবে। জনৈক মানিক হোসেনের সাংবাদিকের সাথে এহেন বক্তব্য সাংবাদিকতার সাথে সাংঘর্ষিক নয় কি?
পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন খন্দকারের পক্ষে প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে হুমকি দেওয়া জনৈক মানিক হোসেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্তমানে কারাবন্দী শাহজাহান খানের স্ত্রীকে মা বলে ডাকে। জনৈক মানিক হোসেন শাহজাহান খানের স্ত্রীকে মা বলে ডেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সরকারি আধাসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে শাজাহান খানের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা।
জনৈক মানিক হোসেন ও ঝালকাঠি উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন খন্দকারের অনিয়ম দুর্নীতি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলার অনুসন্ধান চলমান,,