শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১

Daily Pokkhokal
সোমবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » শেয়ারবাজার » সিডিবিএলের অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে বিএসইসির সঙ্গে বসবে ডিএসই
প্রথম পাতা » শেয়ারবাজার » সিডিবিএলের অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে বিএসইসির সঙ্গে বসবে ডিএসই
৪১৪ বার পঠিত
সোমবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সিডিবিএলের অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে বিএসইসির সঙ্গে বসবে ডিএসই

---পক্ষকাল প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারের লেনদেন নিষ্পত্তি ও তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সিডিবিএলের অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কামশন (বিএসইসি)র সঙ্গে আলোচনা করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

বিশ্বেও বিভিন্ন দেশে ডিপোজিটরি প্রতিষ্ঠানগুলো লেনদেন বা সিকিউরিটিজ সংখ্যার ভিত্তিতে যে সেবা মাশুল নিয়ে থাকে, ঠিক সে ভাবেই করার প্রস্তাব দেবে ডিএসই। এ প্রস্তাব কার্যকর হলে শেয়ার লেনদেনে অপেক্ষাকৃত বেশী খরচের পরিমাণ কমে আসবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ডিপোজিটরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) লেনদেন নিষ্পত্তি, শেয়ারের বণ্টন ও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজের বাজার মূল্যের ওপর ফি বা চার্জ নিয়ে থাকে। এ ছাড়া বাজারমূল্যের হিসাব ধরে শেয়ার করপোরেট এ্যাকশন, রিমেট, ডিমেট ও নতুন প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ফি নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস ও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো একই সেবায় শেয়ার সংখ্যার পরিবর্তে বাজারমূল্যে মাশুল আদায় করায় তুলনামূলক বেশী ফি দিতে হচ্ছে। ফলে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ে অনেক বেশী পরিচালন মুনাফা করছে সিডিবিএল। কিন্তু ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে একই ধরনের সেবার ক্ষেত্রে শেয়ার অথবা লেনদেন সংখ্যার ভিত্তিতে মাশুল নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক মো. শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, সিডিবিএলের সেবা মাশুল বা চার্জ অতিরিক্ত নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে এ চার্জ কমিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে আলোচনা করব। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে সিডিবিএলের সঙ্গে আলোচনা হবে। সবার মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, যে হিসাবে সিডিবিএল চার্জ কাটে তা অনেক বেশী। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ চার্জ কাটছে। ফলে ব্রোকারেজ হাউস ও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো একই সেবায় শেয়ার সংখ্যার পরিবর্তে বাজারমূল্যে মাশুল আদায় করায় তুলনামূলক বেশী ফি দিতে হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে শেয়ার বা সিকিউরিটিজের সংখ্যার ভিত্তিতে চার্জ নেওয়া হয়ে থাকে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের দেশেও সেবা মাশুল পুননির্ধারণ করা উচিত।

সিডিবিএল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে শেয়ারের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের ওপর ০.০১৭৫ শতাংশ বা প্রতি ১০০ টাকায় ১.৭৫ পয়সা মাশুল বা ফি নিচ্ছে সিডিবিএল। ফলে শেয়ার ক্রয় ও বিক্রি বাবদ প্রতি ১০০ টাকা লেনদেনের ওপর সিডিবিএল ৩.৫ পয়সা মাশুল পাচ্ছে। অথচ একই ধরনের সেবার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি শেয়ার সংখ্যা ও লেনদেনের ভিত্তিতে মাশুল নেয়।

এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সিডিবিএলে মাশুল বাবদ চলে যাচ্ছে। সিডিবিএল প্রতিষ্ঠার সময় শেয়ারবাজারে গড় লেনদেন হতো ১০ কোটি টাকা। সে সময়ে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক ভিত্তি মজবুত করতে প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন লেনদেন অনেক বেড়েছে। তাই এ চার্জ পুনর্র্নিধারণ করা উচিত।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)