রক্তে লেখা রাষ্ট্রের মুখোশ
:
নাগরিকের নিরাপত্তাহীনতা, সরকারের ব্যর্থতা ও গণতন্ত্রহীনতার নগ্ন চিত্র
এক দিনের পত্রিকা যেন এক দিনের কবরস্থান-প্রতিটি শিরোনাম একটি নতুন কবর, প্রতিটি নাম একটি নীরব আর্তনাদ।
“যেখানে থানার পাশেই খুন হয়, সেখানে রাষ্ট্র কেবল মুখোশ-ভেতরে শূন্যতা, অক্ষমতা আর তাবেদারি।
এক দিনের মৃত্যুর মিছিল
গাজীপুরে দুপুরে ও রাতে দুই সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা
মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেটে থানার পাশেই যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নাটোরে প্রাইভেট কার থামিয়ে চালকের গলা কেটে হত্যা
এ সবই ঘটেছে একই দিনে। খবর নয়-এগুলো সমাধিফলকের শিরোনাম, যেখানে অপরাধীরা অদৃশ্য, আর রাষ্ট্র নির্বাক।
রাষ্ট্রের মুখোশের আড়ালে ব্যর্থতা
রাষ্ট্রের কাজ নাগরিকের প্রাণ রক্ষা করা। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে রাষ্ট্র কেবল কাগজে-কলমে দায়িত্বশীল, বাস্তবে ক্ষমতাহীন-অথবা ক্ষমতার কাছে বন্দী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন সাধারণ মানুষের জন্য নয়, বরং ক্ষমতাসীনদের ব্যক্তিগত ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
“গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রে আইন হয় দুর্বলদের শিকল, আর ক্ষমতাবানদের জন্য ছুটি।”
তাবেদারি শাসনের অন্ধকার
আজকের বাংলাদেশে জনগণের নিরাপত্তা তালিকার শীর্ষে নেই। শীর্ষে আছে বিদেশি শক্তির তুষ্টি, ক্ষমতার চেইন ধরে রাখার নীতি, আর প্রশাসনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার। ফল? সাধারণ মানুষ খুন হয়, আতঙ্কে বাঁচে, আর শাসকের মুখে হাসি অটল থাকে।
মানবতার কবরফলক
এ রাষ্ট্রে প্রাণের মূল্য কেবল একটি সংখ্যা-টিভির স্ক্রলে কয়েক সেকেন্ড, পত্রিকার পাতায় এক অনুচ্ছেদ, তারপর বিস্মৃতির অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া।
আমাদের প্রশ্ন ও দাবি
রাষ্ট্র যদি নাগরিকের জীবন রক্ষা করতে না পারে, তার বৈধতা কোথায়?
আমরা দাবি জানাই-
ব্যর্থ প্রশাসনের জবাবদিহি
খুনিদের দ্রুত বিচার
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা
নাগরিক নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার
“যতক্ষণ না রাষ্ট্র নাগরিকের প্রাণকে মূল্য দেয়, ততক্ষণ এই দেশ গণতন্ত্রহীন, মানবতাহীন, নিরাপত্তাহীন এক শূন্য মরুভূমি।”
শফিকুল ইসলাম কাজল লন্ডন থেকে