
বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি | সম্পাদক বলছি » প্রসঙ্গঃ-মানুষ মারার সাম্রাজ্যবাদী, পোশাকিভদ্রতা ও মেকিসভ্যতার উন্নয়ন আমরা চাই না!
প্রসঙ্গঃ-মানুষ মারার সাম্রাজ্যবাদী, পোশাকিভদ্রতা ও মেকিসভ্যতার উন্নয়ন আমরা চাই না!
প্রসঙ্গঃ-মানুষ মারার সাম্রাজ্যবাদী, পোশাকিভদ্রতা ও মেকিসভ্যতার উন্নয়ন আমরা চাই না!
ফিলিস্তিনের জনগণের প্রাণ বাঁচানোর গগনবিদারী আর্তচিৎকার ও মামব সভ্যতার কলঙ্কের ভাগীদার তাবত দুনিয়ার শাসকেরা। বিশেষ করে আরবের ধর্মব্যাবসায়ীরা, উত্তরাধিকার সুত্রে মসনদ প্রাপ্ত আয়েশি শাসকেরা। ফিলিস্তিনের যুদ্ধ কোন ধর্মযুদ্ধ নয়, (যদি ও ইহুদি সরকার ধর্মকেন্দ্রিক নাগরিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে) আদতে এটা শাসক আর শাসিত, শোষক আর শোষিতের শ্রেণিযুদ্ধের সুসংগঠিত ও সংঘবদ্ধ রাষ্ট্র কতৃক রাষ্ট্রের উপর জুলুম নির্যাতনের প্রছন্ন পুঁজির নিয়ন্ত্রণ রক্ষা ও সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থসংশ্লিষ্ট জাতিগত বৈষম্যের পাষান সভ্যতার দানবীয় সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের ও সম্প্রসারণবাদী যুদ্ধ। when power talks everybody is silent. Palestine, a country of smashingly massacres, within a couple of weeks! We all will be the Silent Eye witness of the barbarian history of the mankind. ঘৃন্বিত পুঁজিবাদ,মুনাফা,দখলদারিত্ব, ধর্মবর্বরতার ধ্বংসস্তুুপের চাপায় পড়ে গেছে মানবসত্ত্বার ক্রমবিকাশের ধারাপাত এবং ক্রমবিবর্তনের মুনাফাসভ্যতার অতল গহব্বরে বিলিন হয়েছে মানবসভ্যতার ইতিহাসের গৌরবের অতীত।
মার্কিন-বৃটেন-ফ্রান্স অক্ষশক্তির কুলে পীঠে মানুষ হওয়া ইসরায়েল এখন মহাশক্তিধর দানব রাষ্ট্রের প্রতিকৃত রুপে আবির্ভূত হয়েছে বিস্বমঞ্চে। সাম্রাজ্যবাদী সাহায্য সহযোগিতায় ইসরায়েল একটি ছোট্ট জাতিগোষ্ঠী হয়েও এখন পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। গত ৭৫ বছরে ইসরায়েল রাষ্ট্র হিসেবে একদিকে যেমন নানান সৃষ্টি শৈলীর বৈচিত্র্যতায় অভূতপূর্ব শক্তিশালী হয়েছে, অন্যদিকে তেমনি আরব রাষ্ট্রগুলোর নিজেদের গোষ্ঠীগত, গোত্রগত ধর্মান্ধতার ফাঁস-দড়িতে ঝুলে ঐক্যবলী দিয়ে আয়েশি জীবনের মোহের কাছে আত্মসমর্পণ করে সভ্যতার অগ্রগতি বিনষ্ট করে অন্ধসভ্যতার যুগে প্রবেশ করছে। হয়েছে সাম্রাজ্যবাদের আন্তর্জাতিক ক্রীড়নক ও চিন্তা চেতনার ক্রীতদাস। ইসরায়েল যখন যুতসই প্রযুক্তির একছত্র আধিপত্য বিস্তার ঘটাচ্ছে, রণনীতি, রণকৌশল, রণপ্রকৌশল, ইন্টেলিকচুয়াল ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটিয়ে যাচ্ছে তখন আরবেরা পেট্রো-ডলারের উত্থানের বাহাদুরি প্রদর্শনীস্বরুপ গগনচুম্বী ইমারত তৈরি করে নিজের ফরফরানি ও হিম্মৎ প্রদর্শন করছে। সমরাস্ত্র, সামরিক নিরাপত্তাজনিত যন্ত্র ও ডিভাইস আবিষ্কারক ইসরায়েল এখন মহাশক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকার ডিপস্ট্যাট নিয়ন্ত্রণ করছে। আমেরিকা-বৃটেন-ফ্রান্স দানবে পরিণত করছে ইসরায়েলকে। এই দানব বৃটেন-আমেরিকার অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। সারা দুনিয়ার সমরাস্ত্র সরবরাহ করছে এই জায়েনবাদী শিল্পগোষ্ঠী। এখন তারা বিস্বের বুকে উচ্চ শিক্ষিত বৈজ্ঞানিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যেখানে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও শিক্ষার অভাব নিত্যকার সঙ্গী ছিল সেখানে ইসরায়েল একটি ভিন্ন সমাজ এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় উপনীত হয়েছে। আরব জগতের মাঝখানে ছোট্ট একখণ্ড ভূমি ইসরায়েল ইউরোপ-আমেরিকার আদলে গড়ে উঠেছে।
যদিও তাদের তাবুত উন্নতির পেছনে তাদের আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দখল এবং মানুষের উপর সহিংসতার বিষয়টি তাদের সকল উন্নতিকে ছাপিয়ে পরিশোধ পরায়ন জাতি ও নিষ্ঠুর অমানবিক জাতির তকমা তাদের ললাটে অঙ্কিত করেছে যা কখনও কোন কালেও মুছা যাবে না।
ইসরায়েলের এ রকম দানবীয় চরিত্রটি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনেরই প্রতিরূপ। ইসরায়েলের প্রাণভোমরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। যতদিন সাম্রাজ্যবাদ, ধনতন্ত্র ব্যাক্তিগত মালিকানার বিলুপ্তি না ঘটবে ততদিন পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকবে ঊষর মরুর ক্ষ্যাপাটে হায়না সাম্রাজ্যবাদের ক্রীড়নক ইসরায়েল।
অতএব, সাম্রাজ্যেবাদের বিরুদ্ধে তাবুত দুনিয়ার শোষিত নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষের লড়াইই হলো আসল লড়াই।
সাম্রাজ্যেবাদ সারা দুনিয়ায় যা ইচ্ছে তাই করছে। এখন সারা দুনিয়ায় বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছে ও নিজদেশের জনগণকে চাকুরীচ্যুত করছে ও সারা দুনিয়ার অভিবাসীদেরকে চোরের মত ট্রিট করছে। অথচ অভিবাসীদের শ্রমে-ঘামে-শোষণেই গড়ে উঠেছে আজকের আমেরিকা। সারা দুনিয়ার মানুষের রক্ত-শ্রম শোষণ করে তাদের বিলাসী জীবন গড়ে উঠেছে।
Discrimination Movement নয়, Communism প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াইই সঠিক লড়াই । শ্রেণি সংগ্রামের পথ ধরতে হবে। যেখানে আসবে সত্যিকারের মুক্তি। এই যুদ্ধ এই বার্তায়ই আমাদেরকে দিচ্ছে। জুম্মার নামাজের পর শুধু বিক্ষোভ মিছিল, দলীয় ব্যানারে ইসরায়েলের গণহত্যার বিচার চাওয়ার মধ্যেই আমাদের লড়াই সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। খামুকা ইসরায়েলের পণ্যবর্জনের নামে ট্রাক, লড়ি, বাটা সু কোম্পানির আউটলেট ভাঙ্গচুর ও লুটপাট নয়, সাম্রাজ্যেবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, যা তাদের দেশের জনগণ ইতোমধ্যেই প্রদর্শন করতে শুরু করছে।
কারন, সাম্রাজ্যবাদী নীতি এই গ্রহটাকে পাষাণ প্রাচীরে আবদ্ধ মানব তৈরি কারাগারে পরিনত করেছে। সাম্রাজ্যবাদী নীতি নিজের দেশের জনগণকে ও স্বস্তি দিচ্ছে না। সারা পৃথিবীর সম্পদ হাতে গুনা গুটিকয়েক জনের হাতে তুলে দিয়েছে। যারা এখন সাম্রাজ্যেবাদের রক্ষাকবচ।
ধন্যবাদ!
(লেখক- এম এ আউয়াল, ‘৮০’র দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ও ‘৯০ এর ছাত্র-গণঅভূত্থানে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের অন্যতম কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা)