শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১

Daily Pokkhokal
বৃহস্পতিবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » শেয়ারবাজার » শেয়ারবাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পুনর্বিবেচনার আহ্বান ডিএসইর
প্রথম পাতা » শেয়ারবাজার » শেয়ারবাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পুনর্বিবেচনার আহ্বান ডিএসইর
৩৮৮ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শেয়ারবাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পুনর্বিবেচনার আহ্বান ডিএসইর

---পক্ষকাল প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক মন্দা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এ লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কেপিটাল মার্কেট এক্সপোজার (পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ) সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে ডিএসই।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. স্বপন কুমার বালা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ১৯ জানুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বরাবর পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করেছে ডিএসই।

ডিএসইর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে ডিএসই অবগত। পরিস্থিতি মোকাবেলার উপায় খুঁজতে গত বছরের ডিসেম্বরে টপ ট্রেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ের বাজার পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এতে বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মতামত এসেছে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে বাংলাদেশ ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিওএস সার্কুলার নং -০৪, তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১১ তে উল্লিখিত পুঁজিবাজারে ব্যাংকের এক্সপোজার সংক্রান্ত কতিপয় শর্ত উঠিয়ে দেওয়া হলে তা বাজার পরিস্থিতির উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

ডিএসইর পক্ষ থেকে যেসব শর্ত উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে-সকল অতালিকাভুক্ত শেয়ার, যা বর্তমানে ব্যাংকের এক্সপোজার হিসাবে গন্য হয়।

উল্লেখ্য, বিশেষ উদ্দেশ্যে গঠিত এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এরূপ পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ এর শেয়ার/ডিবেঞ্চার ১৫ জুন ২০১০ তারিখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারিকৃত সার্কুলার ডিওএস ০৪ অনুযায়ী ব্যাংকের এক্সপোজার হিসাবে গণ্য করা হয়। যা উঠিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ডিএসই।

মার্জিন লোনের হিসাব অনুযায়ী ব্যাংকের সাবডিসিয়ারি কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন। যা এখন ব্যাংকের এক্সপোজার হিসাবে গন্য হচ্ছে, তা বাতিলের সুপারিশ করেছে ডিএসই। সাবসিডিয়ারি কোম্পানির অবিন্টত মুনাফার অংশ ব্যবহার, যা এখন ব্যাংকের এক্সপোজার হিসাবে গন্য হচ্ছে।

অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে সাবসিডিয়ারির মার্জিন ঋণ দেওয়া, যা এখন ব্যাংকের এক্সপোজার হিসাবে গন্য হচ্ছে। এবং ধারণকৃত শেয়ারের মূল্য বাড়লে নতুন বিনিয়োগ ছাড়াই তা ব্যাংকের সাবসিডিয়ারির বর্ধিত এক্সপোজার হিসাবে গন্য করা।

সাম্প্রতিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিসেম্বরের শুরু থেকে নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৭শ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হলেও ডিসেম্বর থেকে তা ৩শ কোটিতে নেমে যায়। জানুয়ারি মাসে বাজার পরিস্থিতি তুলনামুলক ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উল্টো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত (১৫ কার্যদিবস) দৈনিক লেনদেন ৩শ কোটি টাকায় নেমেছে। আর সূচক কমেছে ১৪৩ পয়েন্ট। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালের একই সময়ে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৮শ কোটি টাকারও বেশি। একই সময়ে সূচক বেড়েছিল ৩৫৪ পয়েন্ট।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)