শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Daily Pokkhokal
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » হুট করে বেড়ে গেল চালের দাম
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » হুট করে বেড়ে গেল চালের দাম
৩০৬ বার পঠিত
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

হুট করে বেড়ে গেল চালের দাম

---পক্ষকাল সংবাদ-

মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার পাইকারি বাজারে হুট করে চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে তিন থেকে চার টাকা। কিন্তু খুচরা বাজারে বেড়ে গেছে তার চেয়েও বেশি। প্রতি কেজি চাল আরও ছয় থেকে সাত টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। এতে করে বিপাকে পড়েছে নিন্মবিত্ত ও নিন্ম- মধ্যবিত্তরা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মানিকগঞ্জের কয়েকটি পাইকারি চালের আড়ৎ, অটো রাইস মিল ও বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সেখানে প্রতি ৫০ কেজি চালের বস্তায় দুই থেকে আড়াইশ’ টাকা বাড়লেও খুচরা বাজারে বেড়ে তা দাঁড়াচ্ছে তিনশ’ টাকার মতো।

সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের দুধবাজার এলাকার মেসার্স মজিবর ট্রেডাস, মেসার্স ফরহাদ ট্রেডার্স ও খালপাড় মোড়ের মেসার্স তনু রন্ত রাইস এজেন্সিতে ৫০ কেজি বস্তা মিনিকেট ২২০০ টাকা, মিনিকেট (কুষ্টিয়া) ২৩৫০ টাকা, ২৯ চাল ১৭০০ টাকা, হাফ সেদ্ধ ২৯ চাল ১৭৫০ টাকা, ঘি-ভুগ ২৮০০, নাজির ২৫০০, আমন ১৬০০, বাসমতি ২৫০০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ পাইকারদের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা যে টাকায় চাল কিনছেন, বিক্রি করছেন তার চেয়েও চড়া দামে। ধানের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। দুধবাজারে চালের ক্রেতা সাইফুল বলেন, দুই দিন আগে যে চাল ৩০ টাকা প্রতি কেজি কিনেছি, সেই চাল এখন ৩৬ টাকায় কিনছি। এভাবে চালের দাম বাড়লে আমাদের মতো পরিবারের তিন বেলা না খেয়ে দুই বেলা খেতে হবে। যত বিপদ হয়েছে আমাদের মতো নিন্ম-মধ্যবিত্ত লোকজনের।

মেসার্স মজিবর ট্রেডার্সের মহাজন মজিবর রহমান বলেন, হঠাৎ দুইদিনে চালের বস্তায় কিছু টাকা বেড়ে গেছে। অথচ আমাদের কাছ থেকে দামে খুচরা ব্যবসায়ীরা কিনছে, তার চেয়ে প্রতি কেজি চালে তারা ছয় থেকে সাত টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে। মানিকগঞ্জ চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী ফরহাদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বেড়া পাবনা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী থেকে চাল কিনে মানিকগঞ্জের খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। ৫০ কেজি চালের বস্তায় দুই থেকে আড়াইশ’ টাকা মোকামেই বাড়ছে। সে অনুয়ায়ী আমরা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি। কিন্তু, শুনেছি খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারে ক্রেতাদের কাছে প্রতি কেজিতে আরও ছয় থেকে সাত টাকা করে বেশিতে বিক্রি করছে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)