শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Daily Pokkhokal
শনিবার, ১০ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্যাংক-বীমা | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » মানুষ কী ব্যাংকে টাকা না রেখে গাঁজা মদ রাখছে? : পীর ফজলুর
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্যাংক-বীমা | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » মানুষ কী ব্যাংকে টাকা না রেখে গাঁজা মদ রাখছে? : পীর ফজলুর
৪৩৩ বার পঠিত
শনিবার, ১০ জুন ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মানুষ কী ব্যাংকে টাকা না রেখে গাঁজা মদ রাখছে? : পীর ফজলুর

---

পক্ষকাল ডেস্ক ঃ আমরা জানি, তামাক ও মাদক থেকে মানুষদের বিরত রাখার জন্য আবগারি শুল্ক বসানো হয়ে থাকে। কিন্তু এবারের বাজেটে আমাদের অর্থমন্ত্রী মানুষের সঞ্চয়ের ওপরে এই মদ ও তামাকের শুল্ক বসিয়ে দিয়েছে। তার মানে কি মানুষ কি ব্যাংকে গাঁজা মদ রাখে? এমন মন্তব্য করেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর।

সংসদে তিনি আরও বলেন, এই আবগারি শুল্ক ১৯/৯৯ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সাহেব মূলধনের ওপরে ১৫০ টাকা এই আবগারি শুল্ক বসিয়েছিলেন। যা এবারের বাজেটে ১ লাখে টাকায় ৮শ’টাকা করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় তিনি জনগণের সাথে যোগাযোগ রাখেন না। কারণ, একজন মানুষ যদি ১ লাখ টাকা সম্পদশালী হয়ে যায় তাহলে, আমরা প্রতি মাসে ১ তারিখে ১ লাখ টাকা অর্থমন্ত্রী হাতে দিয়ে আসব আর তিনি আমাদের পরিবারে সমস্ত খরচ মিটিয়ে দিবেন। আমরা টাকা ব্যাংকে রাখবো না। তিনি যে কোন হিসেবে ১ লাখ টাকা থাকা মানুষ সম্পদশালী বললেন সেটা আমার মাথা আসে না।

তিনি আরও বলেন, একটি বাজেট সাধারণ অর্থে আয় ব্যয়ের একটি হিসাব। কিন্তু এবারের বাজেট দেখেতে আমাদের মনে হয়েছে যে, এটি হিসাব নিকাশে ভরা একটি পরিসংখ্যানমূলক কথা মালা। এটি দিয়ে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। এমনকি এই বাজেট দিয়ে ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার প্রস্তুতি অর্থমন্ত্রীর এই বাজেটে দেখতে পাই না।

সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর বলেন, এই বড় বাজেট বাস্তবায়নের জন্যে যে সক্ষমতা আমাদের অর্থমন্ত্রীর আছে কি না সেটি দেখা দরকার বলে আমি মনে করি। কারণ আমরা দেখি আমাদের চলতি অর্থ বছরে যে এডিবি ছিল সেই এডিবি বাস্তবয়নের অবস্থা করুণ।

তিনি বলেন, এই চলতি বছরের অর্থমন্ত্রী উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে এডিবির যে বরাদ্দ ছিল সেটি ১১ মাসে মাত্র ৬৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ মন্ত্রণালয় তাদের বরাদ্দের অর্ধেক টাকাও খরচ করতে পারেনি। এবং এই ১১ মাসে সরকারি কর্ম কমিশন একটি টাকাও খরচ করতে পারিনি। অথচ তাদের একটি ৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এডিবির লক্ষ্য পূরণের জন্যে এই জুন মাসে ৪২ হাজার ৯১ কোটি টাকা খরচ করতে হবে তার এই লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। এর মধ্য দিয়েই বোঝা যায় যে, এবারের বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা নাই।

সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর বলেন, আমাদের এই অর্থমন্ত্রী গত বছর এই সংসদে দাঁড়িয়ে যখন বাজেট পেশ করেছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমাদের অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি এই বিষয়ে সংসদে পেশ করবেন। কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত আমাদের কিছুই বলতে পারেনি। সংসদের যে কথা দিয়েছিলেন সেই কথা তিনি রাখেনি। আমার মনে হয় তিনি যেনো দায়িত্ব নিয়েছেন যে, যারা এই চুরির সাথে জড়িত তাদের বাঁচানোর দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর ব্যাংক থেকে টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। ঋণের নামে লুট হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এদের কোনো বিচার হচ্ছে না এই টাকা সব বিদেশে পাচার হয়। তিনি বলেন, ১ বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যায়। আর অর্থমন্ত্রী এদের বিরুদ্ধে কোনো বিচারের আওতায় না নিয়ে এসে তাদেরকে তিনি উৎসাহিত করে। যার জন্যে এই বছরের বাজেটেও তিনি ২ হাজার কোটি টাকা রেখেছেন এই অনেক ব্যাংকের মূলধন সরবরাহ করার জন্যে। কিন্তু আমার কথা হলো কেনো প্রতিবছর ব্যাংকগুলো এক মূল ধন যোগাতে হবে?।

তিনি বলেন, সবাই চুরি করে বিদেশ গিয়ে দ্বিতীয় ঘর করছে। এমনকি কানাডায় একটি এলাকার নাম হয়ে গেছে বেগমগঞ্জ। কারণ ঐখানে দুর্নীতিবাজদের স্ত্রীদেরকে পাঠিয়ে দিয়েছেন ওইখানে। ঐখানে শুধু বেগমরা থাকেন বলেই ওই এলাকার নাম হয়েছে বেগমগঞ্জ।

তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী যেখানে এই ব্যাংক লুটপাটকারীদের বিচর করবে সেখানে তিনি মূলধন দিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংক থেকে প্রতি বছর চুরি হয়েই যাচ্ছে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)